এ সংখ্যার আয়োজন
প্রশ্ন-উত্তর
প্রশ্নঃ নারীর ওভারিয়ান সিস্ট কী?
উত্তরঃ
ডিম্বাশয়ে তরলযুক্ত থলির নাম জরায়ু সিস্ট। ওভারি থেকে কোনো কারণে ডিম্বস্ফুটন না হলে অথবা ডিম্বস্ফুটন হওয়ার পরও ফলিকলগুলো চুপসে বা মিলিয়ে না গেলে সিস্ট তৈরি হয়।
প্রশ্নঃ টাইফয়েড কি?
উত্তরঃ অস্বাস্থ্যকর খাবার ও দূষিত পানির মাধ্যমে টাইফয়েডের জীবাণু মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। দেখা দেয় জ্বর, মাথাব্যথা, ডায়রিয়া ও অন্যান্য উপসর্গ। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ভালো থাকলে অনেকসময় টাইফয়েডের জীবাণু দেহে সংক্রমণ করতে পারে না। বিশুদ্ধ পানি পান, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে জীবন-যাপনের মাধ্যমে টাইফয়েডের সংক্রমণ ও জটিলতা এড়ানো যায়।
প্রশ্নঃ ফেসিয়াল প্যারালাইসিসের লক্ষণ ও উপসর্গগুলো কী কী?
উত্তরঃ মুখের একপাশ অবশ ও বাঁকা হয়ে যাওয়া, চোখ জ্বালাপোড়া করা, মাথার একপাশে ব্যথা, মুখে ও কানে তীব্র ব্যথা, খাবার খেতে ও কথা বলতে কষ্ট বোধ করা এবং মুখ দিয়ে লালা ঝরার মতো লক্ষণ-উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
প্রশ্নঃ ডাস্ট অ্যালার্জি কেন হয়?
উত্তর : ধুলাবালুতে থাকা মাইট নাকে ঢুকলে অ্যালার্জি হয়। এছাড়া, ছাঁচ নামক এক ধরনের ছত্রাকের সংক্রমণ, তেলাপোকার দ্বারা নির্গত ক্ষতিকর অ্যালার্জেন, ফুলের পরাগরেণু, মাকড়সার ঝুল বা ঘরের অভ্যন্তরীণ ধুলাবালু এবং কুকুর-বিড়ালের লোম ও খুশকি নাকে ঢুকলে ডাস্ট অ্যালার্জি হয়।
প্রশ্নঃ অ্যাজমা কী?
উত্তরঃ অ্যাজমা শ্বাসনালির অসুখ। প্রদাহের ফলে অতিরিক্ত মিউকাস তৈরী হয় ও শ্বাসনালির মাংসপেশি সংকুচিত হয়। এর ফলে শ্বাস প্রশ্বাসে বিঘ্ন ঘটে, নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে।
প্রশ্নঃ বেশি মাত্রায় ব্যথার ওষুধ খেলে কি কিডনির ক্ষতি হতে পারে?
উত্তরঃ তীব্র ব্যথার ওষুধ, যেমন- ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম, আইবুপ্রোফেন, ইন্ডোমেথাসিন, নেপ্রোক্সেন এমনকি প্যারাসিটামলও ঘন ঘন কিংবা বেশি মাত্রায় সেবনে কিডনি বিকলের ঝুঁকি বাড়ে।
প্রশ্নঃ সুস্থ থাকতে প্রতিদিন কতটুকু হাঁটা উচিত?
উত্তরঃ প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। তবে, একবারে ৩০ মিনিট হাঁটার শারীরিক ক্ষমতা না থাকলে তিনবার ১০ মিনিট করে ৩০ মিনিট হাঁটতে পারেন।
প্রশ্নঃ গহনা থেকে কি অ্যালার্জি হতে পারে?
উত্তরঃ গহনা থেকে যে অ্যালার্জি হয় এতে অবাক হবার কিছু নেই। আসলে একে নিকেল অ্যালার্জি (Nickel allergy) বলা হয়। যাদের শরীর নিকেল বা অন্যান্য ধাতু অ্যালার্জেন হিসেবে সনাক্ত করে তাদের ক্ষেত্রে নিকেল মিশিয়ে বা প্রলেপ দিয়ে তৈরি করা গহনা ব্যবহারে জুয়েলারি অ্যালার্জি হবার প্রবণতা দেখা যায়।
প্রশ্নঃ কোলন ক্যানসার কী?
উত্তরঃ আমাদের খাদ্য পরিপাক এবং খাদ্যের যে নালিটি রয়েছে সেটার নিচের অংশটিকে বলা হয় কোলন বা বৃহদন্ত্র। আর তারও নিচের অংশটি, যেখানে মল জমা থাকে সেটাকে বলা হয় রেক্টাম (Rectum)। এই অংশের ক্যানসারকে বলা হয় কোলোরেক্টাল বা কোলন ক্যানসার।
প্রশ্নঃ স্ট্রেসের কারণে ক্যানসার হতে পারে কি?
উত্তর: গবেষণায় এখনো পর্যন্ত এরকম কিছুর প্রমাণ মেলেনি।
প্রশ্নঃ ক্যানসার কি পুরোপুরি নিরাময় সম্ভব?
উত্তর: অনেক ধরনের ক্যানসারই পুরোপুরি নিরাময়যোগ্য।
প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে অধিকাংশ সময়েই রোগী যথাযথ
চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে।
প্রশ্নঃ হার্টের অসুখ আছে বুঝব কি করে?
প্রশ্ন : কনজাংটিভাইটিস বা চোখ ওঠার উপসর্গ কী কী?
উত্তর : চোখের নিচের অংশ ফুলে লাল হয়ে যাওয়া, চোখে ব্যথা, ঘুম থেকে ওঠার পর চোখের দুই পাতা জোড়া লেগে থাকা, চোখের মণির চারপাশে হালকা লাল হয়ে থাকা, চোখ থেকে অনবরত পানি পড়তে থাকা, চোখে জ্বালাপোড়া ও চুলকানি এবং চোখ থেকে শ্লেষ্মাজাতীয় পদার্থ বের হতে পারে।
প্রশ্নঃ গলাব্যথা কেন হয়?
প্রশ্নঃ ডায়াবেটিসের প্রধান লক্ষণগুলো কী কী?
প্রশ্নঃ সিগারেটের ধোঁয়া কি আসলেই ক্যান্সারের কারণ?
প্রশ্নঃ হার্টের অসুখ আছে বুঝব কি করে?
প্রশ্নঃ শরীরে পানি জমলে কি করতে হবে?
প্রশ্ন : খুশকির কারণে কী চুল পড়ে? প্রতিদিন কেমন মাত্রায় চুল পড়া স্বাভাবিক?
উত্তর : প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ চুল পড়াটা স্বাভাবিক। মাথায় খুশকি হওয়ার জন্য সাধারণত খুব বেশি চুল পড়ে না। খুশকি দূর করার জন্য নিয়মিত খুশকিনাশক শ্যাম্পু ব্যবহার করা দরকার। যেকোনো দীর্ঘমেয়াদী অসুখের কারণে শরীর অসুস্থ থাকলে চুল পড়ে। এ ছাড়া হরমোন সংক্রান্ত সমস্যার জন্য মাথায় টাক পড়ার আগে চুল পড়ে।
প্রশ্নঃ রক্তচাপ কম থাকলে কি নিয়মিত স্যালাইন খাওয়া উচিত?
প্রশ্নঃ থাইরয়েডের লক্ষণগুলি কি কি?
প্রশ্নঃ শিশুরা কি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারে?
আর্থ্রাইটিসের উপসর্গ
আর্থ্রাইটিসের উপসর্গগুলো সাধারণত হাড়ের জোড়ার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। হাড়ের সন্ধিতে তীব্র ব্যথা অনুভূত হওয়ার পাশাপাশি আরো যেসব উপসর্গ দেখা দিতে পারে-
· জয়েন্ট ফুলে যাওয়া
· জয়েন্টের আকৃতি পরিবর্তন
· পায়ের পাতায় ব্যথা
· কোমর, ঘাড় ও পিঠে ব্যথা
· শরীরের দুইপাশে একইসঙ্গে ব্যথা
· আঙুল, কনুই, কাঁধ, গোড়ালি ও হাঁটুতে ব্যথা
· দুই হাতের জয়েন্টে একসঙ্গে ব্যথা ও ফুলে যাওয়া
· জ্বর জ্বর অনুভূতি
· দুর্বলতা
স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে সচেতনতা
স্তন ক্যানসার সচেতনতার মাস অক্টোবর। আমাদের দেশের অধিকাংশ নারী স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার বেশ পরে জানতে পারেন। যখন রোগ ধরা পড়ে তখন দেরি হয়ে যায়। তাই এই রোগ প্রতিরোধে সচেতন হওয়া জরুরি।
· ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
· পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুম নিশ্চিত করুন।
· জাংকফুড এড়িয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
· শিশুর বয়স দুই বছর পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়ান।
· দৈনন্দিন ব্যবহার্য সামগ্রীতে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমিয়ে আনুন।
· রাসায়নিকযুক্ত পরিষ্কারক, কীটনাশক ব্যবহার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।
· মেনোপজের পর হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি নেবেন না।
· ২০ বছর বয়সের পর থেকে প্রতি মাসে নিজে নিজেই স্তন পরীক্ষা করুন।
· বয়স চল্লিশ পেরোলে চিকিৎসকের পরামর্শমতো নিয়মিত স্তন পরীক্ষা করুন।
· উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
চোখ উঠলে যা করবেন
ভাইরাসজনিত চোখ ওঠার তেমন কোনো চিকিৎসা নেই। তবে ব্যাকটেরিয়াজনিত সন্দেহ হলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ বা অয়েন্টমেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চিকিৎসা নেওয়া হোক আর না হোক, কয়েক দিনের মধ্যেই এটি সেরে যায়। এ সময় যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি-
· চোখে কোনোমতেই হাত দেবেন না
· হাত সব সময় সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার রাখুন।
· কোনোভাবেই চোখ রগড়ানো যাবে না।
· নরম সুতি কাপড় দিয়ে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করা যেতে পারে।
· চোখ ওঠা শিশুদের আলাদা বিছানায় শোয়াতে হবে।
· বাইরের ধুলাবালু বা বাহ্যিক আঘাত থেকে রক্ষা পেতে কালো চশমা পরুন।
· একজনের ব্যবহৃত রুমাল, তোয়ালে বা কাপড়চোপড় অন্য কেউ ব্যবহার করবেন না।
· চোখের পাতা বেশি ফুলে গেলে বরফ দেওয়া যেতে পারে।
ফুড পয়জনিং বোঝার উপায়
খাদ্যে বিষক্রিয়া বা ফুড পয়জনিং পেটের খুব পরিচিত সমস্যা। খাবারের মাধ্যমে কোনো জীবাণু দেহে প্রবেশ করলে এটি হতে পারে। সাধারণত দেহে জীবাণু প্রবেশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই লক্ষণ দেখা দেয়। আবার কখনো কখনো কয়েকদিন বা সপ্তাহ পর লক্ষণ প্রকাশ পায়। ফুডপয়জনিং মারাত্মক কোনো সমস্যা নয়, সচরাচর সাত দিনের মধ্যেই সেরে যায়। তবে, সময়মতো এর চিকিৎসা করা না হলে জটিল অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে।
যেসব উপসর্গ দেখে ফুডপয়জনিং হয়েছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া যেতে পারে-
· ডায়রিয়া/পাতলা পায়খানা
· পেট মোচড়ানো বা কামড়ানো
· পেট মোচড়ানো বা কামড়ানো
· পেটে ব্যথা
· বমিভাব বা বমি
· শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া
· অতিরিক্ত ক্লান্তি
· শরীরব্যথা
ভ্রমণে মাথাব্যথা কেন হয়?
অনেকেরই বাস, প্লেন, ট্রেন, নৌকা কিংবা লঞ্চে চড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয় মাথাব্যথা, মাথাঘোরা ও এক পর্যায়ে বমি। কারো ক্ষেত্রে এই বমি কিছুক্ষণ পরপরই চলতে থাকে। আবার কারো ক্ষেত্রে একবার বমি হওয়ার পর পুরো ভ্রমণে আর বমি হয় না। এই ধরনের উপসর্গের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ পরিচয় কমবেশি প্রায় সবারই আছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় মোশন সিকনেস। গাড়িতে চড়ার সাথে সাথেই ঠান্ডা-সর্দি এবং যাদের মাইগ্রেন আছে তাদের মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হয়ে যায়। যারা মাইগ্রেনজনিত মাথাব্যথায় ভুগে থাকেন তারা গাড়িতে চড়ার আগেই মাথাব্যথার ওষুধ খেয়ে নেবেন। চেষ্টা করবেন গাড়ির সামনের দিকের সীটে জানালা খুলে বসতে। ভ্রমণসঙ্গী হিসেবে টকজাতীয় ফল কিংবা আদা সাথে রাখতে পারেন।
সান বার্ন প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
রোদে সান প্রোটেকশন বা সানস্ক্রিন ছাড়া চলাফেরা করলে অতিবেগুনী রশ্মি খুব সহজেই শরীরে প্রবেশ করে এবং সানবার্ন হয়। যেটি পরবর্তীকালে স্কিন ক্যানসারের সম্ভাবনা তৈরী করে। সূর্যরশ্মি ত্বকে মেলানিনের মাত্রা বাড়িয়ে ত্বককে কালো করে দেয়। রোদে মুখ লাল হয়ে গেলে দ্রুত ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিন। শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে ডাবের পানি, ফল, ফলের সালাদ ও প্রচুর পানি পান করুন। সানবার্নের কারণে সৃষ্ট অতিবেগুনী বি রশ্মিকে ব্লক করতে পারে সানস্ক্রিন। তাই রোদে বাইরে যাবার ১৫-২০ মিনিট আগে এসপিএফ (সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর) ৩০যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করা এবং দুইঘন্টা পরপর সানস্ক্রিন রিঅ্যাপ্লাই করা আবশ্যক।
রোদে গেলে শরীরঢাকা পোশাক ও ছাতা ব্যবহার করুন। ত্বকের পোড়াভাব দূর করতে রোদ থেকে ঘরে ফিরে তরমুজ বা টমেটোর রস ব্যবহার করতে পারেন। অতিরিক্ত জ্বালাপোড়া ও ফোস্কা দেখা দিলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
পায়ের মাংসপেশিতে হঠাৎ টান লাগে কেন?
প্রায়ই অনেকের পায়ের মাংসপেশিতে হঠাৎ টান ধরার সমস্যা দেখা দেয়। সাধারণত পায়ের পেছনের মাংসপেশি আর পায়ের পাতায় এই টান ধরে। কখনো কখনো ব্যথা পা থেকে উরুতেও চলে আসে। কোনকারণে পেশি হঠাৎ শক্ত হয়ে গেলে এই অবস্থা সৃষ্টি হয়। রাতে ঘুমের মধ্যে এটি বেশি হতে দেখা যায়। তীব্র ব্যথায় ঘুম ভেঙে যায়। পা সোজা বা ভাঁজ করতেও অসুবিধা হয়।
· হঠাৎ অতিরিক্ত শরীরচর্চা করলে
· গর্ভকালীন দেহে খনিজের অভাব হলে
· অনেকসময় ধরে একটানা বসে থাকলে
· ঘুমের সময় ভুল দেহভঙ্গির কারণে
· অতিরিক্ত ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় অবস্থান করলে
· শরীরে পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন দেখা দিলে
·দেহে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের অভাব হলে
· অতিরিক্ত মাদকাশক্তি, বাত, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, কিডনি ও হার্টের জটিলতার কারণে পায়ের মাংসপেশিতে টান লাগতে পারে।
প্রতিদিন একটি আপেল খাওয়ার উপকারিতা
প্রচলিত আছে প্রতিদিন একটি আপেল খেলে ডাক্তারের কাছে যেতে হয় না। এই কথার সত্যতা ও গুরুত্ব বুঝতে হলে জানতে হবে আপেলের পুষ্টিগুণ ও এটি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। শুধু আপেল না, প্রতিদিন একটি কলা বা যেকোনো মৌসুমি ফল খাওয়া দেহের জন্য ভালো। আপেলে থাকা ভিটামিন-এ ও সি দেহের জন্য উপকারি। এছাড়াও মিনারেল, ফাইবার, পটাশিয়াম ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর আপেল প্রতিদিন একটি করে খেলে যেসব উপকার পাওয়া যেতে পারে-
· আপেলে থাকা ফ্লাভোনল নামক উপাদান ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
· আপেল দাঁতকে করে সাদা ও মজবুত।
· নিয়মিত আপেল খেলে পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস পায়।
· এটি ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে।
· লিভার সুস্থ রাখে।
· ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
· স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
পানি পান করার আদর্শ পদ্ধতি
· সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে আড়াইশো মিলিলিটার বা এক গ্লাস পানি পান করুন।
· ভরপেট খাবার খাওয়ার পরপরই পানি পান করবেন না।
· ফুটিয়ে বা ফিল্টারিং করে বিশুদ্ধ পানি পান করুন।
· পানি দ্রুত ঢকঢক করে গিলে ফেলবেন না। মুখে নেওয়া থেকে গিলে ফেলা পর্যন্ত অন্তত পাঁচ-দশ সেকেন্ড সময় নিন।
· একসঙ্গে বেশি পানি পান করবেন না। দুপুরে খাবার গ্রহণের পর থেকে রাত অব্দি একঘণ্টা পরপর এক-দুই চুমুক করে পানি পান করতে পারেন।
· রাতে ঘুমানোর আগে বেশি পানি পান করবেন না।
· একজন সুস্থ মানুষের জন্য দৈনিক ছয়-আট গ্লাস পানি যথেষ্ট। অতিরিক্ত পানি পান করবেন না।
দুধ হজমে সমস্যা: পুষ্টি যোগাতে বিকল্প খাবার
অনেকেরই বিশেষ বিশেষ খাবারে সমস্যা হয়, একে বলা হয় ফুড ইনটলারেন্স। দুধ হজম করতে অসুবিধা হলে সেটি ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স। দুধে থাকা ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ভিটামিন-ডি আমাদের দেশের জন্য উপকারি। দুধ হজমে অসুবিধা হলেও দুধের পুষ্টি থেকে শরীর যেন বঞ্চিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে শুধু দুধ না খেয়ে দুধের সঙ্গে রুটি, মুড়ি, খই, ভাত ও অন্যান্য খাবার মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়াও দুধের তৈরি খাবার যেমন- ছানা, প্যানকেক, পুডিং, ক্রিম, কাস্টার্ড, কেক, মাখন খেতে পারেন।
একেবারেই দুধ খেতে না পারলে দুধের পুষ্টি আছে এমন বিকল্প খাবার বেছে নিন। বিকল্প হিসেবে খেতে পারেন- সয়ামিল্ক, আমন্ড মিল্ক, ল্যাকটোজ ফ্রি মিল্ক, কাঠবাদাম, ব্রকলি, লেটুস পাতা, শালগম, সিম ও কুমড়ার বিচি, পোস্তদানা, খেজুর, সামুদ্রিক মাছ প্রভৃতি খাবার।
করোনা আক্রান্ত হলে যা করবেন
· শুরুতে ভাইরাস নাকে বা গলায় আক্রমণ করে। বড় কোনো অসুবিধা এ সময় দেখা দেয় না। হালকা সর্দি কাশি বা গলা জ্বলার মতো অসুবিধা হতে পারে। এমন অবস্থায় ভিটামিন সি খাওয়া জরুরি।
· এর পরের পর্যায়ে কাশি-জ্বর বাড়তে থাকে। দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা নড়বড়ে হয়ে যায়। ফুসফুস আক্রান্ত হতে পারে। সেক্ষেত্রে শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। এ অবস্থায় ঘরে বসেই গরম পানির ভাপ নেওয়া, গার্গল করা, অক্সিমিটার দিয়ে আক্সিজেন লেভেল মনিটর করা দরকার।পাশাপাশি ভিটামিন এবং ভিটামিন জাতীয় খাবার খেতে থাকলে ধীরে ধীরে রোগী সুস্থ হয়ে উঠবেন।
· শেষ পর্যায়ে শুরু হয় তীব্র শ্বাসকষ্ট। ফুসফুসের পাশাপাশি বৃক্ক, হৃদযন্ত্রও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। পরিস্থিতি ভয়াবহ পর্যায়ে চলে গেলে হাসপাতালে নিতে হবে।
· বেশকিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অক্সিজেন সিলিন্ডারের সেবা দিয়ে থাকে। তাদের ফোন নম্বর সংগ্রহে রাখুন।
ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধের নিয়ম-কানুন
· অতিরিক্ত তেল-মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
· শর্করাজাতীয় খাবার, চিনি, কোমল পানীয়, মিষ্টি এড়িয়ে চলুন।
· প্রচুর পানি পান করুন। আঁশযুক্ত সবজি ও ফলমূল খান।
· লিভারের চর্বি শোধনে উপকারী রূপচাঁদা, স্যামন, টুনা, ইলিশ ও অন্যান্য ওমেগা-৩ তেলযুক্ত মাছ খান।
· মেদ-ভুড়ি কমাতে নিয়মিত শরীরচর্চা করুন।
· ব্ল্যাক কফি বা গ্রিন টি খেতে পারেন।
· বাইরের খাবার বিশেষ করে ফাস্টফুড এড়িয়ে চলুন।
· ভিটামিন ডি-এর অভাব পূরণে প্রতিদিন কিছুক্ষণ সূর্যালোকে থাকুন।
· ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
· ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
· দুশ্চিন্তা কমিয়ে পর্যাপ্ত ঘুমান। স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলুন।
টাইফয়েডে যা করবেন।
গ্রীষ্ম ও বর্ষায় আমাদের দেশে টাইফয়েডের প্রকোপ বাড়ে। দেখা দেয় তীব্র জ্বর, কাশি, বমি, মাথাব্যথা, ডায়রিয়া, ক্ষুধামান্দ্য, গলাব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য বা প্রলাপের মতো উপসর্গ। এসব উপসর্গ প্রকাশের পরপরই দ্রুত টাইফয়েডের চিকিৎসা নিতে হবে। রক্ত পরীক্ষা করে টাইফয়েডের জীবাণু পাওয়া গেলে ১০ থেকে ১৪ দিনের অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হয়। এ সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখতে হবে, চিকিৎসক যতোদিন অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের পরামর্শ দেবেন ততোদিন পর্যন্ত অবশ্যই ওষুধ চালিয়ে যেতে হবে। টাইফয়েডে জ্বর ও ডায়রিয়ার কারণে শরীরে পানিস্বল্পতা দেখা দেয়। এ সময় শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি যোগাতে রোগীকে প্রচুর তরল ও ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াতে হবে। জ্বর বেশি থাকলে শরীর বারবার মুছে দিতে হবে। প্রতিবার টয়লেট ব্যবহারের পর ভালোভাবে সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে।
পিরিয়ডের সময় সুস্থ থাকতে যেসব খাবার খাবেন
পানিঃ পিরিয়ডের সময় পানির অভাব পূরণ করতে এবং শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে প্রচুর পানি ও ফলের রস পান করুন।
আদাঃ পিরিয়ডকালীন ব্যথা কমাতে গরম পানি বা চায়ের সঙ্গে আদার কুচি বা রস খেতে পারেন।
আয়রনযুক্ত খাবারঃ শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণে মাংস, মাছ, ডিম, কলিজা, ব্রকলি, কচুশাক, পুঁইশাক, ডাটাশাক, ফুলকপির পাতা, ধনেপাতা, তরমুজ, খেজুর, জাম, আমড়া, পাকা তেঁতুল খান। এ সময় অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা এড়াতে চর্বিহীন মাংস রাখতে পারেন খাদ্যতালিকায়।
পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামঃ পিরিয়ডকালীন মাথাব্যথা, পেশিতে টান ও পেটব্যথা কমাতে কলা, মিষ্টিকুমড়ার বিচি, শিমের বিচি, বাদাম, মিষ্টি আলু, অ্যাভোকাডো ইতাদি খেতে পারেন।
ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবারঃ দুধ, দই, পনির, টফু, সয়ামিল্ক, আখরোট, কাঁটাযুক্ত মাছে প্রচুর ক্যালসিয়াম রয়েছে। পিরিয়ড চলাকালে ক্যালসিয়ামযুক্ত এসব খাবার শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
রঙিন শাকসবজি ও ফলঃ শাকসবজিতে থাকা আঁশ হজমে সাহায্য করে। পিরিয়ডের সময় পেটের সমস্যা দূর করতে খাবার হজম হওয়া জরুরি। এ সময় খাদ্যতালিকায় প্রচুর শাকসবজি ও ফল রাখুন।
পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম বা পিসিওএসের উপসর্গ
·পিসিওএসের বড় একটি লক্ষণ অনিয়মিত পিরিয়ড। বছরে দুই-তিন বার বা তার চেয়ে কমও হতে পারে।
·মেন্সট্রুয়াল সাইকেল বা পিরিয়ড হঠাৎ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
·পিসিওএসে আক্রান্ত অনেকেরই পরপর ও একাধিকবার পিরিয়ড মিস হয়। যখন পিরিয়ড হয় তখন স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি রক্তপাত হয়।
·পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম গ্লুকোজ অসহিষ্ণুতা সৃষ্টি করতে পারে। ফলে ওজন বেড়ে স্থুলতা দেখা দিতে পারে।
·মুখ, পিঠ, বুকসহ শরীরে হঠাৎ প্রচুর ব্রণ দেখা দিতে পারে।
·ঘাড়, গলা, কুঁচকি ও শরীরের বিভিন্ন অংশ অতিরিক্ত কালো হয়ে যেতে পারে।
·হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে তীব্র মাথাব্যথা হতে পারে।
· দেহে অবাঞ্ছিত লোম বেড়ে যেতে পারে।
· মাথার কিছু অংশের চুল অতিরিক্ত পাতলা হয়ে যেতে পারে বা চুলপড়া বেড়ে যেতে পারে।
যেভাবে চোখের যত্ন নেবেন
শরীরের মতো আমাদের চোখেরও যত্ন নেওয়া উচিত। নিয়মিত চোখের যত্ন নিলে ভবিষ্যতে বড়ো জটিলতা এড়ানো যায়। চোখের যত্নে মেনে চলুন কিছু নিয়ম-কানুন।
· কাজের ফাঁকে দশ-বিশ মিনিটের ছোট বিরতি নিন। আশপাশে সবুজ থাকলে সবুজে চোখ মেলে রাখুন কিছু সময়।
· কিছুক্ষণ চুপচাপ চোখ বুজে থাকুন। হাতের কাছে পেলে শসা টুকরো করে কেটে চোখের পাতায় দিয়ে রাখুন। ছোট রুমাল বা সুতির কাপড় পানিতে ভিজিয়েও চোখের পাতায় রাখতে পারেন। সতেজ লাগবে।
· ঘর অন্ধকার করে টিভি দেখা ও কম্পিউটারে কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। এতে চোখে চাপ বেশি পড়ে। পর্যাপ্ত আলোর সরবরাহ আছে এমন স্থানে স্ক্রিনে কাজ করুন।
· কাজের ফাঁকে চোখের হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। চোখ বন্ধ করে মণি ওপর-নিচ ও ডান-বামে ধীরে ধীরে চক্রাকারে ঘুরান।
· কাজের ফাঁকে বা টিভি দেখতে দেখতে যদি চোখ শুকনো লাগে চোখে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিন। কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকুন।
· বাইরের ধূলাবালি এড়াতে রোদচশমা ব্যবহার করুন। চোখে মেকআপ ব্যবহার করলে ভালোভাবে তুলে নিন। চোখ সবসময় পরিষ্কার রাখুন।
ডায়াবেটিসের উপসর্গ
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার পর ব্যক্তির শরীরে সাধারণত কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। এ লক্ষণগুলি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে সহজেই ডায়াবেটিস চিহ্নিত করা সম্ভব। ডায়াবেটিসের লক্ষণসমূহ নিম্নরূপ-
· ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া।
· অতিরিক্ত পিপাসা পাওয়া।
· ঘনঘন খিদে পাওয়া।
· অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্ত হয়ে যাওয়া।
· চোখে ঝাপসা দেখা।
· শরীরের কাঁটাছেড়া বা ক্ষত সহজে না সারা।
· পর্যাপ্ত খাওয়া সত্ত্বেও ওজন কমে যাওয়া।
· হাতে-পায়ে ব্যথা হওয়া ও অবশ হয়ে যাওয়া।
· যৌন দুর্বলতা দেখা দেওয়া।
গরমে ঘামের দুর্গন্ধ এড়াতে যা করবেন
· গরমে আঁটসাঁট ও সিনথেটিক পোশাক এড়িয়ে সুতির পাতলা ও ঢিলেঢালা পোশাক পরুন।
· প্রতিদিন গোসল করুন। নিজেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন।
· অন্তর্বাস ও মোজা পরিষ্কার রাখুন।
· প্রচন্ড রোদ ও গরম এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে ছাতা ব্যবহার করুন।
· ঘামাচি হলে চুলকানি রোধে অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ খান।
· ঘেমে গেলে পোশাক পরিবর্তন করুন।
· মশলাযুক্ত খাবার, কফি, অ্যালকোহল পরিহার করুন।
· দুর্গন্ধ এড়াতে ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করুন। তবে, ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই ত্বক পরিষ্কার করে নেবেন।
· দুর্গন্ধের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া রোধে নিমপাতা দিয়ে সেদ্ধ পানিতে গোসল করতে পারেন।
হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে যা করবেন।
দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট। কোনো কারণে তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রির বেশি হলে রক্তচাপ কমে হিট স্ট্রোক হতে পারে। হিট স্ট্রোকের উপসর্গগুলো সাধারনত- মাথা ঝিম ঝিম করা, বমি, অবসাদ ও দুর্বলতা, মাথাব্যথা, মাংসপেশির খিঁচুনি, চোখে ঝাপসা দেখা। এছাড়াও ঘামের অনুপস্থিতি, চামড়া খসখসে ও লাল হয়ে যাওয়া, হৃৎস্পন্দন বৃদ্ধি, শ্বাসকষ্ট, মাতালের মতো আচরণ, দৃষ্টিবিভ্রম বা হ্যালুসিনেশন, বিভ্রান্তি, অশান্তি, খিঁচুনি ইত্যাদি লক্ষণও দেখা যায়। এমনকি রোগী অচেতনও হয়ে যেতে পারে।
· রোগীকে অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা
স্থানে নিয়ে যেতে হবে।
· ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিন।
· ফ্যান ছেড়ে দিন বা বাতাস করুন।
· প্রচুর পানি বা খাবার স্যালাইন পান করতে দিন।
· কাঁধে-বগলে অথবা কুঁচকিতে বরফ দিন।
· রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করুন।
প্রতিরোধের উপায়:
গরমের দিনে কিছু নিয়ম মেনে চললে হিট
স্ট্রোক থেকে বাঁচা যায়। এ সময় সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। যথাসম্ভব ঘরের ভেতরে বা
ছায়াযুক্ত স্থানে থাকুন। রোদে বাইরে যাওয়ার সময় টুপি, ক্যাপ অথবা ছাতা ব্যবহার
করুন। প্রচুর পানি বা খাবার স্যালাইন অথবা ফলের রস পান করুন। তীব্র শারীরিক
পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখবেন যেভাবে
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে থাকে। ২০ বছর বয়সের পর প্রত্যেকেরই প্রতি পাঁচ বছরে অন্তত একবার এটি পরীক্ষা করে দেখা উচিৎ। যাদের উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত মেদভুড়ি ও হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি আছে তাদের কম ঘনত্বের কোলেস্টেরলের মাত্রা ৭০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটারের নিচে থাকা উচিৎ। যাদের হৃদরোগের ঝুঁকি নেই তাদের ১৬০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটারের নিচে থাকতে পারে। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে মেনে চলুন কিছু নিয়ম-কানুন।
· নিয়মিত হাঁটুন ও ব্যায়াম করুন।
· চর্বিজাতীয় খাবার পরিহার করুন।
· আঁশযুক্ত খাবার বেশি খান।
· ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে ত্যাগ করুন।
· ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
· বেশি বেশি মাছ খান। মাছ না খেতে চাইলে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডসমৃদ্ধ ক্যাপসুল সেবন করতে পারেন।
· যদি হৃদরোগের নমুনা থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করুন।
হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকে যা করবেন
হার্ট যখন অপর্যাপ্ত ও অনিয়মিতভাবে রক্ত সঞ্চালন করে তখনই হার্ট অ্যাটাক হয়। হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হলে ভয় পাবেন না। দ্রুত জোরে এবং ঘন ঘন কাশি দেবেন যেন কাশির সঙ্গে কফও বের হয়ে আসে। প্রতিবার কাশি দেয়ার আগে দীর্ঘশ্বাস নিন। এভাবে ঘন ঘন কাশি এবং দীর্ঘশ্বাস প্রতি দুই মিনিট পরপর করতে থাকুন। এতে করে আপনার হৃদপিণ্ড কিছুটা হলেও নিয়মিতভাবে রক্ত সঞ্চালন করবে। হাসপাতালে নেয়ার আগে এটি রোগীকে সাপোর্ট দেবে অনেকখানি। কারণ, দীর্ঘশ্বাসের ফলে শরীরে অক্সিজেন পরিবহণ বেশি হয় আর ঘন ঘন কাশি দেয়ার ফলে বুকে যে চাপের সৃষ্টি হয় তাতে করে হার্ট পর্যাপ্ত ও নিয়মিতভাবে রক্ত সঞ্চালনের জন্য প্রস্তুত হয়।
মাইগ্রেনের ব্যথায় যা করবেন
উচ্চ রক্তচাপ, দৃষ্টিস্বল্পতা, সাইনোসাইটিস, দাঁতের সমস্যা, মস্তিষ্কের টিউমার, রক্তক্ষরণসহ অন্যান্য অনেক কারণে মাথাব্যথা হতে পারে। সব মাথাব্যথাই মাইগ্রেন নয়। মাইগ্রেনকে দূরে সরিয়ে রাখতে তীব্র রোদ কিংবা ঠান্ডা, চোখ ধাঁধানো আলো কিংবা স্বল্প আলোয় কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। উচ্চশব্দ ও কোলাহলপূর্ণ পরিবেশ, দীর্ঘসময় স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকা, খালি পেটে থাকা, রাত জাগা বর্জন করে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে। যেসব খাবার মাইগ্রেনে ব্যথার তীব্রতা বাড়াতে পারে সেসব খাবার বর্জন করে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। মাইগ্রেন পুরোপুরি সেরে যায় না। তবে, পর্যাপ্ত বিশ্রাম, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে মাইগ্রেনের মাত্রা কমিয়ে আনা সম্ভব।
শিশুর ডায়রিয়ায় কী করবেন?
খাদ্যনালিতে রোটাভাইরাসের সংক্রমণে শিশুর ডায়রিয়া হতে পারে। সংক্রমণ রোধে শিশুকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ও বারবার হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। এ সময় শিশুর স্বাভাবিক খাবার বন্ধ করা যাবে না। ছয় মাসের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে দুই-তিন ঘণ্টা পরপর মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে, হঠাৎ জ্বর বাড়লে কিংবা শিশু খেতে অনীহা প্রকাশ করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
টনসিলাইটিস এড়াতে করণীয়
ঠান্ডা কিছু খেলে অনেকের টনসিলের সমস্যা দেখা দেয়। ফ্রিজের পানি পরিহার, ঠান্ডা আবহাওয়ায় পর্যাপ্ত গরম কাপড় পরিধান, গরম পানি পান, লবণ-পানি দিয়ে গড়গড়া করা এবং ওরাল হাইজিন মেনে চলার মাধ্যমে সহজেই টনসিল সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব। তবে জটিলতা বেশি হলে অস্ত্রোপচার করার প্রয়োজন হতে পারে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
সুস্থতায় সুষম খাবার
পরিবারে সবার স্বাস্থ্য ভালো রাখুন সুষম খাবার খাওয়ার উপর জোর দিন। রান্নায় ব্যবহার করুন হলুদ, দারুচিনি, গোলমরিচ, আদা, রসুনের মতো মশলা। এমন খাবার খান যা হজম করা সহজ। প্রচুর জল খান। গ্রিন টি বা কালো চা খেতে পারেন, কারণ চায়ে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। ফল আর শাকসবজি খান বেশি করে।
বুক জ্বালাপোড়ায় যা করবেন
সময়ে-অসময়ে চা, কফি পান, তৈলাক্ত খাবার, দুশ্চিন্তা, ধূমপান ও নানান কারণে বুক জ্বালাপোড়া, কোষ্ঠকাঠিন্য সৃষ্টি হয়। বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা দূর করতে খাদ্যতালিকা থেকে ঝেড়ে ফেলুন তেল-চর্বিযুক্ত খাবার ও চিনি। খুব প্রয়োজনে গুড় বা লালচিনি খেতে পারেন। নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। খাবার গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গেই শরীরচর্চা হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই ভরপেটে কখনোই শরীরচর্চা করবেন না। ঘুমাতে যাবার অন্তত দু’ঘণ্টা আগেই সেরে ফেলুন রাতের খাবার। বুক জ্বালাপোড়া দূর করতে প্রচুর পানি পান করুন। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন। দুশ্চিন্তামুক্ত জীবনযাপন করুন।
শিশুর ওবেসিটি
স্থুলতা বা ওবেসিটির মূল কারণগুলো সাধারনত পরিবেশজনিত, বংশানুক্রমিক ধারা ও হরমোন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিশুর মুটিয়ে যাওয়া জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসের ওপর নির্ভরশীল। হাঁটা দূরত্বে গাড়ী ব্যবহার না করে স্কুলে যাতায়াত, লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ির ব্যবহার, প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম ও বাড়ির কাজে শিশুর অংশগ্রহণ ইত্যাদি শিশুকে ফিট রাখতে সহায়তা করবে। ওবেসিটি সন্দেহ হলে অবশ্যই শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। তিনি উচ্চতা ও ওজন মেপে এবং প্রয়োজনে নানান পরীক্ষা করে ঠিক করবেন আপনার শিশু আসলেই ওবেসিটির দিকে যাচ্ছে কি না।
অতিরিক্ত চুল পড়া
বর্তমান সময়ের অতি পরিচিত এক সমস্যার নাম চুল পড়া। নানা কারণে চুল পড়তে পারে। চুল পরিষ্কারে কেমিক্যালযুক্ত শ্যাম্পু পরিহার করে প্রাকৃতিক উপাদানযুক্ত শ্যাম্পু এবং শ্যাম্পুর পর অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। গোসলের পর চুলের গোড়া নরম হয়ে যায়, এ সময় জোরে চাপ দিয়ে চুল মুছলে কিংবা আঁচড়ালে চুল পড়া ও ভেঙে যাবার হার অনেকাংশে বেড়ে যায়।
চুল পড়া রোধে মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, দুশ্চিন্তামুক্ত থাকা জরুরি। শরীর সুষম খাবার না পেলে ফিডব্যাক কখনোই ভালো দেবে না বরং হরমোনাল ইমব্যালেন্স তৈরি হতে পারে। তাই চুল সুস্থ রাখতে চাইলে সুস্থ থাকতে হবে ভেতর থেকে।
সৌন্দর্য ও সুস্বাস্থ্যে অ্যালোভেরা
ত্বকের উজ্জলতা বাড়িয়ে ত্বককে মসৃণ ও কোমল রাখতে আজকাল প্রসাধনী তৈরিতে ব্যবহার করা হয় অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর নির্যাস। এতে থাকা অ্যান্টি-ফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্রণ নিরাময়ে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণের দাগ দূর করে। অ্যালোভেরার জেল বের করে আইস ট্রেতে জমিয়ে বরফের কিউব তৈরি করেও ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহারে ধীরে ধীরে কমে যাবে মেছতার দাগ। অ্যালোভেরায় থাকা অ্যালোমিন চুলকে লম্বা হতে সাহায্য করে। নিয়মিত এর রস খেলে বা চুলে ব্যবহার করলে খুশকি ও চুল পড়া কমে যায়। চুল হয়ে ওঠে ঝরঝরে ও মসৃণ। এতে রয়েছে মানবদেহের জন্য অত্যাবশ্যক আটটি অ্যামাইনো এসিড, বি-সিসটারোলসহ ১২টি উপাদান যা শরীরে কোনো প্রদাহ তৈরি হওয়া ঠেকায়। কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করতে, শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে, ত্বক ভালো রাখতে এর নির্যাস শরবত হিসেবে খাওয়া ও ত্বকে ব্যবহার দুটোই দারুণ উপকারী।
ওজন কমাতে লেবুপানি পান
লেবুপানি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের একটি অংশ। দিনের শুরু করতে পারেন লেবুপানি দিয়ে। ৪০০ মিলিলিটার কুসুম গরম পানিতে দুই চা চামচ লেবুর রস দিয়ে একটু মধু মিশিয়ে খেয়ে নিতে পারেন। এটি বিপাকক্রিয়ার হার বাড়ায়। লেবুতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন-সি। এটি শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের জোগান দেয়। ত্বকে বলিরেখা পড়তে বাঁধা দেয়। ত্বকের সুরক্ষায় কাজ করে। ডাইউরেটিক ও ল্যাক্সেটিভ হিসেবেও কাজ করে। প্রস্রাব ও মল পরিষ্কার রাখে। এছাড়াও রয়েছে ফ্ল্যাভনয়েড, যেটি চর্বি ও ইনসুলিন রেসিস্ট্যান্স কমায়, রক্তে চর্বি, শর্করা কমাতে সাহায্য করে। খাদ্যাভ্যাস ঠিক না করে ও শরীরচর্চা না করে শুধু লেবুপানি খেয়ে ওজন কমে না। লেবুপানি খেয়ে শরীরচর্চা করলে ক্যালরি ক্ষয়ের পরিমাণ বাড়ে। এটি দ্রুত ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
শিশুর স্থূলতা রোধে মা-বাবার করণীয়
· শিশুর ওজন বৃদ্ধি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নিতে একটি চার্ট রাখুন। ওজন দ্রুত বৃদ্ধি পেতে দেখলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
· কৌটার দুধ বা কৃত্রিম খাবার খাওয়ালে শিশু দ্রুত মোটা হয়ে যায়। তাই শিশুকে ছয় মাস পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়ান। এটি ওজন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রতিরোধকের মতো কাজ করে।
· ছয় মাস বয়স থেকে পরিবারের খাবার দিতে হবে, যাতে অবশ্যই শাকসবজি, ফলমূল থাকবে। ফাস্টফুড, কোমল পানীয়, চকলেট, আইসক্রিম ও অন্যান্য বাইরের খাবার যতটা সম্ভব কম দিতে হবে।
· শিশুকে নড়াচড়া ও চলাফেরার মধ্যে রাখতে হবে। নিজের কাজ নিজে করতে উৎসাহিত করতে হবে এবং বাইরে খেলাধুলার সুযোগ করে দিতে হবে।
· হাঁটা দূরত্বে গাড়ি বা রিকশা ব্যবহার না করে স্কুলে যাতায়াত, লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ির ব্যবহার, প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম ও বাড়ির কাজে শিশুর অংশগ্রহণ ইত্যাদি শিশুকে ফিট রাখতে সহায়তা করবে।
ঘামাচি দূরীকরণের ঘরোয়া সমাধান
· আইসব্যাগ বা গামলায় ঠান্ডা পানি বা বরফ নিয়ে ঘামাচি আক্রান্ত স্থানগুলোতে সেঁক দিন।
· ঘামাচির ওপর অ্যালোভেরার নির্যাস বা হলুদের সঙ্গে অ্যালোভেরার রস মিশিয়ে লাগিয়ে রেখে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।
· গোলাপজলমিশ্রিত নিমপাতার রস ঘামাচির ওপর লাগালে ঘামাচি মরে যায়।
· মুলতানি মাটি চর্মরোগের প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে কার্যকর। এই মাটি গোলাপজল দিয়ে পেস্ট করে ঘামাচির ওপর লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ রাখার পর শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলবেন।
· ঠান্ডা পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। তাতে পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে ত্বকে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর হাত দিয়ে ধীরে ধীরে মুছে নিন।
· বৃষ্টির পানিও ঘামাচি দূর করতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। বৃষ্টি হলে ভিজতে পারেন।
রোজায় ডায়াবেটিস রোগীর সতর্কতা
রোজায় সাধারণত ইফতার ও সাহরিতে দুটি মূল খাবার গ্রহণ করা হয়। খেয়াল রাখতে হবে, অন্য সময়ের মতো রমজান মাসেও ডায়াবেটিস রোগীর দৈনিক ক্যালরি চাহিদা যেন একই থাকে। কেবল সময়সূচীতে পরিবর্তন আসতে পারে। চিনি ও চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিতে হবে।
কিছুসংখ্যক জটিল রোগী বাদে অধিকাংশ ডায়াবেটিক রোগী কোনো ধরণের সমস্যা ছাড়াই রোজা পালন করতে পারেন। রোজা পালনের কারণে ডায়াবেটিক রোগীরা কিছু স্বাস্থ্যঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারেন। যেমন-
১। হাইপোগ্লাইসেমিয়া বা রক্তে শর্করা স্বল্পতা।
২। হাইপারগ্লাইসেমিয়া বা রক্তে শর্করা বৃদ্ধি।
৩। পানিশূন্যতা।
৪। কিটো অ্যাসিডোসিস।
৫। থ্রম্বোসিস বা রক্ত জমাট বাঁধা।
রোজা শুরুর তিন মাসের মধ্যে যাদের এসব জটিলতা তীব্র আকারে দেখা দিয়েছে তারা উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন। যাদের বারবার রক্তে শর্করা কমে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে বা শর্করা কমে গেলে টের পান না, কিডনি ও হৃদরোগ আছে, বয়স্ক, অন্তঃসত্ত্বা তাদের রোজা পালন না করাই ভালো।
সুখে অসুখে এ সংখ্যার লেখক
সুখে অসুখে পূর্বের সংখ্যা
- সুখে অসুখে সংখ্যা ৪৪
- সুখে অসুখে সংখ্যা-৪২
- সুখে অসুখে সংখ্যা-৪২
- ত্রয়োদশ বর্ষ, জুন ২০২৩, সংখ্যা ৪১
- এয়োদশ বর্ষ,ফেব্রুয়ারি ২০২৩, সংখ্যা ৪০
- দ্বাদশ বর্ষ, অক্টোবর ২০২২, সংখ্যা ৩৯শরীরজুড়ে যত ব্যথা
- দ্বাদশ বর্ষ, অক্টোবর ২০২২, সংখ্যা ৩৯
- সুখে অসুখে - দ্বাদশ বর্ষ, ফেব্রুয়ারি ২০২২, সংখ্যা ৩৭
- সুখে অসুখে - একাদশ বর্ষ, নভেম্বর ২০২১, সংখ্যা ৩৬
- সুখে অসুখে - একাদশ বর্ষ, আগস্ট ২০২১, সংখ্যা ৩৫
- সুখে অসুখে - সংখ্যা ৩৪
- সুখে অসুখে - সংখ্যা ৩৩
- সুখে অসুখে - সংখ্যা ৩২