এ সংখ্যার আয়োজন

প্রশ্ন-উত্তর

উত্তরঃ 

ডিম্বাশয়ে তরলযুক্ত থলির নাম জরায়ু সিস্ট। ওভারি থেকে কোনো কারণে ডিম্বস্ফুটন না হলে অথবা ডিম্বস্ফুটন হওয়ার পরও ফলিকলগুলো চুপসে বা মিলিয়ে না গেলে সিস্ট তৈরি হয়।

উত্তরঃ অস্বাস্থ্যকর খাবার ও দূষিত পানির মাধ্যমে টাইফয়েডের জীবাণু মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। দেখা দেয় জ্বর, মাথাব্যথা, ডায়রিয়া ও অন্যান্য উপসর্গ। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ভালো থাকলে অনেকসময় টাইফয়েডের জীবাণু দেহে সংক্রমণ করতে পারে না। বিশুদ্ধ পানি পান, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে জীবন-যাপনের মাধ্যমে টাইফয়েডের সংক্রমণ ও জটিলতা এড়ানো যায়। 

উত্তরঃ  মুখের একপাশ অবশ ও বাঁকা হয়ে যাওয়া, চোখ জ্বালাপোড়া করা, মাথার একপাশে ব্যথা, মুখে ও কানে তীব্র ব্যথা, খাবার খেতে ও কথা বলতে কষ্ট বোধ করা এবং মুখ দিয়ে লালা ঝরার মতো লক্ষণ-উপসর্গ দেখা দিতে পারে। 

উত্তর : ধুলাবালুতে থাকা মাইট নাকে ঢুকলে অ্যালার্জি হয়। এছাড়া, ছাঁচ নামক এক ধরনের ছত্রাকের সংক্রমণ, তেলাপোকার দ্বারা নির্গত ক্ষতিকর অ্যালার্জেন, ফুলের পরাগরেণু, মাকড়সার ঝুল বা ঘরের অভ্যন্তরীণ ধুলাবালু এবং কুকুর-বিড়ালের লোম ও খুশকি নাকে ঢুকলে ডাস্ট অ্যালার্জি হয়।

উত্তরঃ অ্যাজমা শ্বাসনালির অসুখ। প্রদাহের ফলে অতিরিক্ত মিউকাস তৈরী হয় ও শ্বাসনালির মাংসপেশি সংকুচিত হয়। এর ফলে শ্বাস প্রশ্বাসে বিঘ্ন ঘটে, নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে।

উত্তরঃ তীব্র ব্যথার ওষুধ, যেমন- ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম, আইবুপ্রোফেন, ইন্ডোমেথাসিন, নেপ্রোক্সেন এমনকি প্যারাসিটামলও ঘন ঘন কিংবা বেশি মাত্রায় সেবনে কিডনি বিকলের ঝুঁকি বাড়ে।

উত্তরঃ প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। তবে, একবারে ৩০ মিনিট হাঁটার শারীরিক ক্ষমতা না থাকলে তিনবার ১০ মিনিট করে ৩০ মিনিট হাঁটতে পারেন।

উত্তরঃ গহনা থেকে যে অ্যালার্জি হয় এতে অবাক হবার কিছু নেই। আসলে একে নিকেল অ্যালার্জি (Nickel allergy) বলা হয়। যাদের শরীর নিকেল বা অন্যান্য ধাতু অ্যালার্জেন হিসেবে সনাক্ত করে তাদের ক্ষেত্রে নিকেল মিশিয়ে বা প্রলেপ দিয়ে তৈরি করা গহনা ব্যবহারে জুয়েলারি অ্যালার্জি হবার প্রবণতা দেখা যায়। 

উত্তরঃ আমাদের খাদ্য পরিপাক এবং খাদ্যের যে নালিটি রয়েছে সেটার নিচের অংশটিকে বলা হয় কোলন বা বৃহদন্ত্র। আর তারও নিচের অংশটি, যেখানে মল জমা থাকে সেটাকে বলা হয় রেক্টাম (Rectum)। এই অংশের ক্যানসারকে বলা হয় কোলোরেক্টাল বা কোলন ক্যানসার। 

উত্তর: গবেষণায় এখনো পর্যন্ত এরকম কিছুর প্রমাণ মেলেনি।

উত্তর: অনেক ধরনের ক্যানসারই পুরোপুরি নিরাময়যোগ্য।
প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে অধিকাংশ সময়েই রোগী যথাযথ
চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে।

উত্তর: সাধারনত হার্টের অসুখে বুকে অসহ্য ব্যথা অনুভূত হয়। সেই সঙ্গে ঘাম, ক্লান্তি এবং প্রচন্ড শরীর খারাপ লাগা। হার্টের করোনারি আর্টারি বা ধমনী ব্লকেজ থাকলে মানুষের শরীরে নানান সমস্যা হয়। অনেকসময় এই সমস্যাগুলি নিঃশব্দে দানা বাঁধে।

উত্তর : চোখের নিচের অংশ ফুলে লাল হয়ে যাওয়া, চোখে ব্যথা, ঘুম থেকে ওঠার পর চোখের দুই পাতা জোড়া লেগে থাকা, চোখের মণির চারপাশে হালকা লাল হয়ে থাকা, চোখ থেকে অনবরত পানি পড়তে থাকা, চোখে জ্বালাপোড়া ও চুলকানি এবং চোখ থেকে শ্লেষ্মাজাতীয় পদার্থ বের হতে পারে।

উত্তর: ১। কোভিডের অন্যতম লক্ষণ হচ্ছে গলাব্যথা। কিন্তু সব গলাব্যথাই কোভিড নয়। ২। গলাব্যথার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে শিশুরা। ৩। গলাব্যথা যদি এক মাস বা তিন মাসের বেশি থাকে, তা থেকে হার্ট বা কিডনিতে ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে। ৪। গলাব্যথার খুব প্রচলিত কারণ হচ্ছে টনসিলাইটিস।
উত্তরঃ · ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া · অতিরিক্ত ক্ষুধা · শরীরের ওজন কমে যাওয়া · পানির পিপাসা বৃদ্ধি
উত্তরঃ হ্যাঁ। ফুসফুস, কিডনি, অগ্নাশয়, খাদ্যনালী, মূত্রাশয়ের কান্সারের অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে ধূমপান।
উত্তরঃ সাধারনত হার্টের অসুখে বুকে অসহ্য ব্যথা অনুভূত হয়। সেই সঙ্গে ঘাম, ক্লান্তি এবং প্রচন্ড শরীর খারাপ লাগা। হার্টের করোনারি আর্টারি বা ধমনী ব্লকেজ থাকলে মানুষের শরীরে নানান সমস্যা হয়। অনেকসময় এই সমস্যাগুলি নিঃশব্দে দানা বাঁধে।
উত্তরঃ লবণ কম খাওয়া, পা উঁচু করে রাখা, শরীরচর্চা, মূত্রবর্ধক ওষুধ ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে। জীবনযাত্রার পরিবর্তনে অবস্থার উন্নতি না হলে ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি।

উত্তর : প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ চুল পড়াটা স্বাভাবিক। মাথায় খুশকি হওয়ার জন্য সাধারণত খুব বেশি চুল পড়ে না। খুশকি দূর করার জন্য নিয়মিত খুশকিনাশক শ্যাম্পু ব্যবহার করা দরকার। যেকোনো দীর্ঘমেয়াদী অসুখের কারণে শরীর অসুস্থ থাকলে চুল পড়ে। এ ছাড়া  হরমোন সংক্রান্ত সমস্যার জন্য মাথায় টাক পড়ার আগে চুল পড়ে।

উত্তরঃ রক্তচাপ স্বাভাবিকের তুলনায় কম থাকলে তার অন্তর্নিহিত কারণ খুঁজে চিকিৎসা করা উচিত। কোনো কারণে দেহ পানি ও লবণ হারালে (যেমন ডায়রিয়া, বমি, অতিরিক্ত ঘাম) স্যালাইন খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু, নিয়মিত স্যালাইন খাওয়ার দরকার নেই।
উত্তরঃ মাথাব্যথা, স্মৃতি শক্তি ও মেজাজের পরিবর্তন, শুষ্ক ত্বক, চুল পাতলা হয়ে যাওয়া প্রভৃতি ছাড়াও থাইরয়েড গ্রন্থিতে প্রদাহ অর্থাৎ ফোলাভাব বা গলায় আঁটসাঁট অনুভূতি হতে পারে।
উত্তরঃ যেসব শিশুর ওজন বেশি, বাবা-মা, দাদা-দাদি, ফুফু, ভাই-বোনের ডায়াবেটিস আছে এবং মায়ের গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস ধরা পড়েছ তারা আক্রান্ত হতে পারে। জন্মের সময় শিশুর ওজন কম ও শরীরে ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দিলেও ডায়াবেটিস হতে পারে।
 হেলথ টিপস

সুখে অসুখে এ সংখ্যার লেখক

সুখে অসুখে পূর্বের সংখ্যা

LinkedIn
Share
WhatsApp