সাধারণ জিজ্ঞাসা

উত্তরঃ গবেষণায় এখনো পর্যন্ত এরকম কিছুর প্রমাণ মেলেনি।

উত্তরঃ কেমোথেরাপির সময় চুল ঝরে যাওয়া একটি অস্থায়ী ব্যাপার। থেরাপি শেষণ হওয়ার পরে সাধারণত নতুন চুল গজায়

উত্তরঃ এনিমিয়া যেকোনো অবস্থাতেই যে কারো হতে পারে। এর সঙ্গে ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার বা না হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।

উত্তরঃ হ্যাঁ। ফুসফুস, কিডনি, অগ্নাশয়, খাদ্যনালী, মূত্রাশয়ের কান্সারের অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে ধূমপান।

উত্তর: সাধারনত হার্টের অসুখে বুকে অসহ্য ব্যথা অনুভূত হয়। সেই সঙ্গে ঘাম, ক্লান্তি এবং প্রচন্ড শরীর খারাপ লাগা। হার্টের করোনারি আর্টারি বা ধমনী ব্লকেজ থাকলে মানুষের শরীরে নানান সমস্যা হয়। অনেকসময় এই সমস্যাগুলি নিঃশব্দে দানা বাঁধে।
উত্তরঃ খাওয়ার সময় অন্যমনস্ক হলে শ্বাসনালিতে খাবার ঢুকে চোকিং সৃষ্টি করে। এক্ষেত্রে পেছন থেকে দুই হাত দিয়ে পেটের ওপরের দিকে জোরে জোরে চাপ দিয়ে আটকে থাকা বস্তু বের করতে হবে। শিশুর ক্ষেত্রে কোলে নিয়ে হাতের ওপর উপুড় করে পিঠে চাপড় দিতে হবে। হাসপাতালে পৌঁছুনো অব্দি এটি চালিয়ে যেতে হবে।
উত্তর: অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, রাত জাগা, অত্যধিক চিন্তা, শরীর নিয়ে সচেতনতার অভাবে অনেক সময় হৃদযন্ত্রের উপর চাপ পড়ে। এগুলো এড়িয়ে নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনের চেষ্টা করতে হবে।
উত্তরঃ পর্যাপ্ত পানি পান ও শরীরচর্চা করতে হবে। চাপমুক্ত জীবন যাপন, যথেষ্ট ঘুম ও বিশ্রাম জরুরি। উন্নতি না হলে স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
উত্তরঃ লবণ কম খাওয়া, পা উঁচু করে রাখা, শরীরচর্চা, মূত্রবর্ধক ওষুধ ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে। জীবনযাত্রার পরিবর্তনে অবস্থার উন্নতি না হলে ওষুধের প্রয়োজন হতে পারে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি।
উত্তরঃ অনিয়মিত পিরিয়ড বা হরমোনজনিত সমস্যা হলে চুল পড়ে যাওয়া, দুর্বল হয়ে যাওয়াসহ যেকোন শারীরিক সমস্যা হতে পারে।

 

উত্তরঃ কেমোথেরাপি অনেকসময় ক্যানসার কোষ ধ্বংসের পাশাপাশি আমাদের দেহের কিছু উপকারী কোষও মেরে ফেলে। কেমোরেডিয়েশন অধিকাংশ সময়েই দেহের ফাস্ট গ্রোয়িং বা ডিভাইডিং কোষকে টার্গেট করে। আমাদের চুল ও নখের ফলিকলও বেশ ফাস্ট গ্রোয়িং কোষ। তাই, কেমোথেরাপির পর অনেকের চুল ও নখ আক্রান্ত হয়।

 

  উত্তরঃ অ্যাজমা শ্বাসনালির অসুখ। প্রদাহের ফলে অতিরিক্ত মিউকাস তৈরী হয় ও শ্বাসনালির মাংসপেশি সংকুচিত হয়। এর ফলে শ্বাস প্রশ্বাসে বিঘ্ন ঘটে, নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে।  
উত্তরঃ অ্যাজমা ছোঁয়াচে রোগ নয়। পারিবারিক বা বংশগতভাবে অ্যাজমা হতে পারে। আক্রান্ত মায়ের বুকের দুধ খেয়ে শিশুর অ্যাজমায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই।
উত্তরঃ তীব্র ব্যথার ওষুধ, যেমন- ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম, আইবুপ্রোফেন, ইন্ডোমেথাসিন, নেপ্রোক্সেন এমনকি প্যারাসিটামলও ঘন ঘন কিংবা বেশি মাত্রায় সেবনে কিডনি বিকলের ঝুঁকি বাড়ে।
উত্তরঃ প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। তবে, একবারে ৩০ মিনিট হাঁটার শারীরিক ক্ষমতা না থাকলে তিনবার ১০ মিনিট করে ৩০ মিনিট হাঁটতে পারেন।
উত্তরঃ গহনা থেকে যে অ্যালার্জি হয় এতে অবাক হবার কিছু নেই। আসলে একে নিকেল অ্যালার্জি (Nickel allergy) বলা হয়। যাদের শরীর নিকেল বা অন্যান্য ধাতু অ্যালার্জেন হিসেবে সনাক্ত করে তাদের ক্ষেত্রে নিকেল মিশিয়ে বা প্রলেপ দিয়ে তৈরি করা গহনা ব্যবহারে জুয়েলারি অ্যালার্জি হবার প্রবণতা দেখা যায়।

উত্তরঃ গহনা থেকে যে অ্যালার্জি হয় এতে অবাক হবার কিছু নেই। আসলে একে নিকেল অ্যালার্জি (Nickel allergy) বলা হয়। যাদের শরীর নিকেল বা অন্যান্য ধাতু অ্যালার্জেন হিসেবে সনাক্ত করে তাদের ক্ষেত্রে নিকেল মিশিয়ে বা প্রলেপ দিয়ে তৈরি করা গহনা ব্যবহারে জুয়েলারি অ্যালার্জি হবার প্রবণতা দেখা যায়।

উত্তর: গবেষণায় এখনো পর্যন্ত এরকম কিছুর প্রমাণ মেলেনি।

উত্তর: অনেক ধরনের ক্যানসারই পুরোপুরি নিরাময়যোগ্য। প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে অধিকাংশ সময়েই রোগী যথাযথ চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে।
উত্তর: হ্যাঁ। ফুসফুস, কিডনি, অগ্ন্যাশয়, খাদ্যনালি, মূত্রাশয়ের ক্যানসারের অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে ধূমপান।
উত্তর: রক্তচাপ স্বাভাবিকের তুলনায় কম থাকলে তার অন্তর্নিহিত কারণ খুঁজে চিকিৎসা করা উচিত। কোনো কারণে দেহ পানি ও লবণ হারালে (যেমন ডায়রিয়া, বমি, অতিরিক্ত ঘাম) স্যালাইন খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু, নিয়মিত স্যালাইন খাওয়ার দরকার নেই।
উত্তরঃ মাথাব্যথা, স্মৃতি শক্তি ও মেজাজের পরিবর্তন, শুষ্ক ত্বক, চুল পাতলা হয়ে যাওয়া প্রভৃতি ছাড়াও থাইরয়েড গ্রন্থিতে প্রদাহ অর্থাৎ ফোলাভাব বা গলায় আঁটসাঁট অনুভূতি হতে পারে।
উত্তরঃ যাদের বাবা-মা, ভাই-বোন বা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের ডায়বেটিস আছে। নিয়মিত হাঁটাচলা ও শারীরিক পরিশ্রম করেন না। অনিয়ন্ত্রিত ও অলস জীবন যাপন করেন। তাদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।
উত্তরঃ · ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া · অতিরিক্ত ক্ষুধা · শরীরের ওজন কমে যাওয়া · পানির পিপাসা বৃদ্ধি
উত্তরঃ যেসব শিশুর ওজন বেশি, বাবা-মা, দাদা-দাদি, ফুফু, ভাই-বোনের ডায়াবেটিস আছে এবং মায়ের গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস ধরা পড়েছ তারা আক্রান্ত হতে পারে। জন্মের সময় শিশুর ওজন কম ও শরীরে ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দিলেও ডায়াবেটিস হতে পারে।
উত্তরঃ মাংসপেশিতে অতিরিক্ত টান খেলে বা টিস্যু ছিঁড়ে গেলে মাসল পুল হতে পারে।

উত্তরঃ মাসল পুলের প্রধান কয়েকটি কারণ হল-১. শরীরের যেকোনো একটি মাংসপেশি অনেকক্ষণ ধরে ব্যবহৃত হলে।

২. ব্যায়াম, খেলাধুলা বা যেকোনো শারীরিক কসরতের আগে ওয়ার্মআপ বা শরীর গরম না করলে।

৩. পেশী ক্লান্ত থাকা অবস্থায় আকস্মিক নড়াচড়া করলে।

৪. হঠাৎ অতিরিক্ত ভারী কিছু ওঠালে।

৫. পেশীর অতিরিক্ত ও অনুপযুক্ত ব্যবহার।

৬. মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা প্রভৃতি।

উত্তরঃ যারা বিভিন্ন রকম ব্যথা-বেদনা, আর্থ্রাইটিস বা বাতরোগে ভুগছেন, যেমন- হাঁটু, ঘাড়, কোমর ও কাঁধে ব্যথায় আক্রান্ত, তারা ব্যথানাশক ওষুধের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিতে পারেন। আর ব্যথানাশক ওষুধ যদি খেতেই হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খান।
উত্তরঃ ডায়রিয়া একটি ভাইরাসজনিত রোগ। দূষিত পানি ও রাস্তার খোলা খাবার খেলে এ রোগ বেশি দেখা যায়। অসচেতনভাবে শিশুকে লালন-পালন করলে এ রোগ হতে পারে।
১। কোভিডের অন্যতম লক্ষণ হচ্ছে গলাব্যথা। কিন্তু সব গলাব্যথাই কোভিড নয়। ২। গলাব্যথার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে শিশুরা। ৩। গলাব্যথা যদি এক মাস বা তিন মাসের বেশি থাকে, তা থেকে হার্ট বা কিডনিতে ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে। ৪। গলাব্যথার খুব প্রচলিত কারণ হচ্ছে টনসিলাইটিস।
উত্তরঃ তীব্র গলাব্যথা, মাথাব্যথা, খাবার খেতে কষ্ট, মুখ হাঁ করতে অসুবিধা, কানে ব্যথা, মুখ দিয়ে লালা বের হওয়া, কণ্ঠস্বর ভারি হওয়া ও মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়া। এ ছাড়া স্বরভঙ্গ, গলায় ঘাসহ টনসিল স্ফীতি, ঢোক গিলতে কষ্ট হয়, গলা ফুলে যাওয়া।
উত্তরঃ নিউমোনিয়া ছোঁয়াচে নয়। তবে রোগীর কাশি বা হাঁচি থেকে এই রোগের জীবাণু ছড়াতে পারে। একে ‘ড্রপলেট ইনফেকশন’ বলা হয়।
উত্তরঃ নিউমোনিয়া ফুসফুসের সংক্রমণ। এটি ফুসফুসে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। সাধারণত ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের সংক্রমণে নিউমোনিয়া হয়। যেমন, স্ট্রেপ্টোকক্কাস নিউমোনি নামের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ নিউমোনিয়া রোগের অন্যতম প্রধান কারণ। এছাড়া, ছত্রাকজনিত কারণেও নিউমোনিয়া হতে পারে।
উত্তরঃ নিউমোনিয়ার প্রথম দিকে সাধারণ জ্বর, সর্দি এবং সঙ্গে কাশির উপসর্গই দেখা যায়। তবে কিছু দিন পর থেকেই এই উপসর্গগুলির প্রকোপ বাড়তে থাকে। দেখা যায়, জ্বর কিছুতেই কমছে না। সঙ্গে শ্বাসকষ্ট বাড়ছে। কাশিও একই ভাবে বাড়ছে। বুকের ব্যথা থাকছে। সাধারণ সর্দি-কাশি হলে ওষুধ সেবনের পর দ্রুত সাড়া পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে তেমন হয় না।
LinkedIn
Share
WhatsApp